আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিচার দাবি ২২ পেশাজীবী সংগঠনের

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ ২২টি পেশাজীবী সংগঠন। বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতারা চলমান ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে শিক্ষার্থীদের হত্যা, তাদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি, কোটা বাতিলের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতারা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিকে অত্যন্ত যৌক্তিক বলে মনে করি। কোটা কখনো, মেধার বিকল্প হতে পারে না। এ কোটার কারণে প্রতিভাবান অনেক চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন।

‘কোটা ব্যবস্থার বিলোপ হলে, সব প্রার্থীর মধ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এতে করে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীরা তাদের প্রকৃত প্রতিভার স্বীকৃতি পাবেন এবং যোগ্য প্রার্থীদের মাধ্যমে সরকারি খাতে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে।’

তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক হওয়া সত্ত্বেও তাদের দাবি না মেনে বল প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, গত কদিন ধরে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নির্বিচার হামলা চালানো হয়েছে। সরকারি ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পিস্তল, রড, লাঠি, হকিস্টিক, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। নির্বিচার হামলায় নারী শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি। বিশেষ করে মঙ্গলবার ছাত্রলীগ ও পুলিশ যৌথভাবে দেশের বিভিন্নস্থানে অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের সন্তান সমতুল্য কোমলমতি অসংখ্য শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করতে দেখেছি। তাদের শরীর বেয়ে ঝরছিল রক্ত। লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি রাস্তায়। শিক্ষার্থীদের রক্তে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরের পিচঢালা কালো রাস্তা লালে লাল হয়ে যায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের দায় সরকার কিছুতেই এড়াতে পারে না। শিক্ষার্থীরা যখন কোটা বাতিলের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছিল তখন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

বিবৃতিতে সই করা ব্যক্তিরা হলেন- বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধরী প্রমুখ।

You May Also Like