বাড়িতে হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন রাহুলের স্ত্রী ঊর্মিলা

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে অসহযোগ আন্দোলন। সবশেষে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ঠিক এরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও হত্যার ঘটনাও ঘটে। সে ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি ধানমন্ডি ৩২-এ অবস্থিত জলের গান ব্যান্ডের গায়ক রাহুল আনন্দের বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, পরিকল্পিতভাবে এ আগুন দেয়া হয়। এক সাক্ষাকারে রাহুল আনন্দ জানান, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এক কাপড়ে বাড়ি কোনো মত বের হয়ে এসেছিলেন তিনি। তবে এখন শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। সেদিন আসলে কী ঘটেছিল? সেদিনের ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাহুল আনন্দের স্ত্রী চিত্রকর ঊর্মিলা শুক্লা।

ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে আজ (১৩ আগস্ট) বিকেলে তিনি লেখেন, ‘বাইরে জনতার বিজয় মিছিলের চিৎকার। হঠাৎ দেখলাম পেছনের সব বাড়িতে আগুন। আমরা মুহূর্তেই দিশেহারা হয়ে পড়লাম। বুঝলাম ৩২-এর সব বাড়িতেই আগুন লাগানো হয়েছে। আমাদের বাড়িটা সান্তুর রেস্টুরেন্টের পেছনে। পাশে আমাদের বাড়িওয়ালা জনাব আইনুল হকের তিনতলা বাড়ি, সেখানে প্রথম ভাংচুর হয় ও আগুন দেয়। যখন সান্তুরের গেইট দিয়ে উল্লাসে জনতা ঢুকে পড়েছে আর সান্তুরে আগুন ধরাচ্ছে তখন আমরা বুঝতে পারছিলাম না কী করব। আমার যে ঘর ভর্তি বাদ্যযন্ত্র।’

সে সময় দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন শুক্লা। তাঁর ভাষ্য, ‘তাদেরকে বুঝানোর জন্য এগিয়ে গেলাম পরিবারের সবাই। তারা তখন ৩২ ধ্বংসের উল্লাসে কোনো কিছুই শোনার চেষ্টা করেনি। তবে কিছু মানুষ এগিয়ে এসেছিল… তারা চেয়েছিল অন্যদের বুঝাতে। কেউ কারও কথা শোনার মতো অবস্থায় ছিল না। একজন বললো, ‘১৪ বছরের রাগ… এই এলাকা ধ্বংস করবেই। বরং আপনাদেরকে আমরা সাবধানে বের করে দিচ্ছি… আপনারা এখান থেকে চলে যান।’

You May Also Like