বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হাফিজুর রহমান বিপ্লবের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির আওতায় আনতে দুই সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। পেশাদার সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতন বন্ধে পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সময় পেশাদার সাংবাদিকদের ওপর হামলা নির্যাতন হলেও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় হামলা নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। যেখানেই সাংবাদিকদের ওপর হামলা হবে সেখানেই সাংবাদিকদের সব সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান খান বাবু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব, সাবেক নেতা মীর আফরোজ জামান, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সহসভাপতি সাহিদুল ইসলাম, কল্যাণ সম্পাদক জাফরুল আলম, এম শাহজাহান প্রমুখ।
গত রোববার সকালে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় সাবেক এক মেজর একজন সেলসম্যানকে মারধর ও নির্যাতন করেন। এর প্রতিবাদ করায় হাফিজুর রহমানের ওপর হামলা চালায় সেই ব্যক্তি ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন। এ হামলার নেতৃত্ব দেন জি এম রাশেদুল হাসান। তিনি নিজেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অধীনে এলপিআরে থাকা মেজর বলে দাবি করেন। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও মারধর ও হুমকি দেয় তারা। এ ঘটনায় কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন হাফিজুর রহমান।
হাফিজুর রহমান বিপ্লব বলেন, পণ্য পছন্দ না হওয়ায় ডেলিভারিম্যান এক কিশোরকে বেধড়ক মারধর করেন জি এম রাশেদুল হাসান। এ সময় ডেলিভারিম্যানের সাইকেলে থাকা তিনটি ব্যাগ ও মালামাল ফেলে দেন এবং টেনেহিঁচড়ে তাকে পাশের ভবনের নিচে নিয়ে মারতে থাকেন। রাস্তা দিয়ে চলার সময় এ ঘটনা দেখে কাছে গিয়ে মারধরের কারণ জানতে চাই। তখন তার সঙ্গে থাকা একজন আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে চলে যেতে বলেন। এমন আচরণের প্রতিবাদ জানালে জি এম রাশেদুল হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে শার্টের কলার চেপে ধরে ভবনের নিচে টেনে নিয়ে মারধর করে। অনাকাঙ্খিত এ ঘটনায় বাধা দিয়ে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও রক্ষা হয়নি। তারা আমার ওপর চড়াও হয়। কিছুক্ষণ পর কৌশলে পালিয়ে ডেলিভারিম্যানকে উদ্ধার ও ঘটনা তদন্তে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশে খবর দিই। সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ এলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অপরাধীরা।